খেজুর খাওয়ার ২০টি আশ্চর্য উপকারিতা ও অপকারিতা

Alltips A to Z
২৫ ফেব, ২০২৫
খেজুর এমন একটি ফল যা আমাদের ওজন কমানো থেকে শুরু করে ।শরীরের আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করে। শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।শুধু তাই নয়,

খেজুর-খাওয়ার-২০-টি-আশ্চর্য-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

 রমজান মাসে ইফতারিতে খেজুর না থাকলে ইফতার অসমাপ্তই থেকে যায় বললেই চলে। শুধু তাই নয় খেজুর আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করেথাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে খেজুরের গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্র: খেজুর খাওয়ার ২০টি  আশ্চর্য উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুর কি, খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

খেজুর মধ্যপ্রাচ্যের একটি ফল, ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং সবার কাছেই পরিচিত। খেজুর চিনেনা এমন রোগ নাই বললেই চলে। এই ফলটি সকলের কাছেই পছন্দনীয়। খিচুড়ি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আইরন, ভিটামিন, এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ নানান পুষ্টিগুণ উপাদান। এসব খাদ্য উপাদান আপনার আমার শরীরে অতীব প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে যখন আপনার আমার বয়স ৩০ কোঠায় পৌঁছাবে।

সেই সময় মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতা কমতে শুরু করবে। শুধু তাই নয় আমাদের কর্মশক্তি হ্রাস পাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীন হবে, হৃদরোগ ও স্টকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাবে, হজমের সমস্যা হবে, ডাইবেটিস হবে, হাড় ক্ষয় হবে ,ত্বকের নানান সমস্যা হওয়ার প্রবণতাও দেখা দিবে। ঠিক সেই সময় এই খেজুর আমাদের নানান ভাবে উপকার করতে পারে। চলুন জেনে নিই খেজুর ছেলে আমাদের কি কি উপকার হয়। 

আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার অসাধারণ ৩০টি উপকারীতা

খেজুর খাওয়ার ২০টি উপকারিতা নিম্নে দেয়া হলো 

  • খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ প্রাকৃতিক চিনি যার ফলে খেজুরে আরো শক্তি উৎস।
  • খেজুরে ফাইবার রয়েছে যার কারণে এটি হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক।
  • খেজুর কষ্ট কাঠের ন্যস্ত দূর করতে সাহায্য করে।
  • খেজুরে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট রোড প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • খেজুর উপকারী কারণ খেজুরের মধ্যে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
  • খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • খেজুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে কারণ এতে ভিটামিন বি ৬ থাকে।
  • গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী এটি ডেলিভারি সহজ করতে পারে।
  • খেজুর রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে, কারণ এটা আয়রন রয়েছে।
  • খেজুর ওজন বাড়াতে ও কমাতে সাহায্য করে সেটা নির্ভর করবে আপনি কিভাবে খাবেন তার উপরে।
  • ভিটামিন এ থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে।
  • খেজুর কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • খেজুরে প্রাকৃতিক আন্টি উপাদান আছে যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • এটি জনস্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে কারণ এতে অ্যামিনো এসিড ও জিংক থাকে।
  • খেজুর স্টক ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।
  • খেজুর পাকস্থলীরম্বতা ও গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে।
  • শরীরের শক্তি বাড়াতে খেজুর দারুন কার্যকর।
  • খেজুর দ্রুত ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

খেজুর রাত্রে ভিজিয়ে সকালে খেলে কি উপকার হয় 

খেজুর আমাদের সকলের পরিচিত একটি ফল খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকেকষ্ট-কাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। খেজুর রাত্রে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অনেকাংশই কষ্টকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়াও খেজুর মুখে লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশাতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের বদহজম দূর হয়। তাছাড়াও খেজুর রাত্রে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে আরো যে সকল উপকার হয় তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো। 

  • মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে পারে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
  • হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। 
  • হাঁটু কামোড়ের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 
  • চোখের সমস্যা দূর করে। 
  • বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। 
  • গর্ভবতী মা ও সন্তানের অনেক উপকার করে।

আজোয়া খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু হাদিস

হাদিসে বর্ণিত আছে যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজুয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেই দিন তাকে কোন বিষধর সাপে কামড়ালেও বিষ লাগবে না।

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সকালে সবার আগে হঠাৎ খালি পেটে মদিনার উচু ভূমির আজুয়া খেজুর খেলে তার সর্বপ্রকার জাদু অথবা ২০ টাকা আরোগ্য হিসেবে কাজ করে। (মুসনাদে আহমদ ২৩৫৯২)। এখানে উচ্চভূমি বলতে বুঝানো হয়েছে মদিনার পূর্ব দিকের কয়েক মাইল দূরের কয়েকটি গ্রাম। 
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আজুয়া জান্নাতের ফল এতে বিষক্রিয়া প্রতিষেধক রয়েছে। (তিরমিজি হাদিস ২০৬৬)
হযরত সাদ রাজিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ভোরে আটটি আজুয়া খেজুর খাবে, সেই দিন কোন বিষ ও যাদু টোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারী হাদিস নাম্বার ৫৭৬৮)

আজোয়া-খেজুরের-উপকারিতা-সম্পর্কে-কিছু-হাদিস

হযরত আইসা রেজিয়ানাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন মদিনার উচ্চভূমি রাজুয়া খেজুর আরোগ্য রয়েছে, তিনি বলেন প্রতিদিন সকালে এই খেজুর খাওয়া বিছনাশক। (মুসলিম হাদিস নাম্বার ৫১৬৮ )


হযরত আলী রাজিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, যে ব্যক্তি সাত টি আজুয়া খেজুর প্রতিদিন আহার করে, তার পাকস্থলীর সাতটি রোগ নির্মূল হয়ে যায়। (কানযুল উম্মাহ হাদিস নাম্বার ২৮৪৭২)

মহিলাদের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

মহিলাদের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানে না। মহিলাদের খেজুর খেলে কি কি উপকার হয় ।পোস্টটি মনোযোগ সহকারী  পড়ুন তাহলে আপনি সঠিক তথ্য পাবেন মহিলাদের খেজুর খেলে কি কি উপকার হয়। তাহলে চলুন আলোচনা করা যাক।

  • শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে, উচ্চমাত্রায় আইরন থাকায় বিরক্ত স্বল্পতা দূর করতে সহায়ক।
  • খেজুরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হার শক্তিশালী করে।
  • খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  • খেজুরে ভিটামিন বি৫ ঢাকায় চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • খেজুরে গর্ভবতী মহিলাদের শক্তি দেয় এবং বাচ্চার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভ অবস্থায় শেষ দিকে নিয়মিত খেজুর খেলে প্রসব সহজ হয়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এতে ফাইবার থাকায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূতি দেয় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • খেজুরে ফাইবার থাকায় একটু হজম শক্তি বাড়ায় এবং কষ্ট কাঠিন্য দূর করে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
  • শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।

১০০ গ্রাম খেজুরের পুষ্টিগুণ ও  উপাদান
ক্রমিক নাম্বার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
১ row1 col 2 ২৭৭kcal
২ কার্বোহাইড্রেট৭৫ গ্রাম
৩ চিনি ৬৩. ৪ গ্রাম
৪ ফাইবার ৬.৭ গ্রাম
৫ প্রোটিন ২ গ্রাম
৬ ফ্যাট ০.১৫ গ্রাম
৭ পানি ২১ গ্রাম
৮ ভিটামিন বি১ 0.0৫মিলিগ্রাম
৯ ভিটামিন বি৩ 0.0৬ মিলিগ্রাম
১০ ভিটামিন বি ৫ 0. ৮০৫ মিলিগ্রাম
১১ ভিটামিন বি ৬ ০. ২৪৯ মিলিগ্রাম
১২ ভিটামিন এ ৭iu
১৩ ভিটামিন বি ৯ ১৫ মাইক্রোগ্রাম
১৪ ভিটামিন কে ২.৭ মাইক্রগ্রাম
১৫ ক্যালসিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম
১৬ ফসফরাস ৬২ মিলিগ্রাম
১৭ পটাশিয়াম ৬৯৬ মিলেগ্রাম
১৮ সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম
১৯ আইরন ০.৯ মিলিগ্রাম
২০ জিংক ০. ৪৪ মিলিগ্রাম
২১ ম্যাগনেসিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম

পুরুষদের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

  • পুরুষদের খেজুর খাওয়া উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা দেওয়া হলো।
  • শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে-খেজুরের প্রাকৃতিক চিনি থাক আইটি দ্রুত শক্তি যোগায়।
  • শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান বাড়াই-গবেষণা দেখা গেছে খেজুরের পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • স্টোরেটর মাত্রাবাড়ায়-খেজুরে থাকা জিংক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়-খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পুরুষদের হিটযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • হার শক্তিশালী করে-খেজুরে থাকা ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস হার গঠন ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি উন্নত করে-খেজুরে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে-খেজুরে কমিক ইনডেক্স থাকায় এটি রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এর ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে-খেজুর দীর্ঘ সময় ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • মানসিক চাপ কমায়-খেজুরে অক্সিডেন্ট ও ম্যাগনেসিয়াম মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়।
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়-উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে-খেজুর কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করে।
  • শরীরে পানের ভারসাম্য বজায় রাখে-খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও ইলেকট্রোলাইট থাকায় শরীরের পানের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
  • বয়স্ক জনিত দুর্বলতা কমায়-খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও হাইট নিউট্রিয়াট থাকাই এটি বার্ধক্য জনিত সমস্যা কমায়।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি উপকার হয়

গর্ভ অবস্থায় নিয়মিত খেজুর খাওয়া মা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গর্ব অবস্থায় খেজুর খেলে কি উপকার হয় তা নিম্নে দেয়া হলো।

গর্ভাবস্থায়-খেজুর-খেলে-কি-উপকার-হয়
  • গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ নেই সহায়ক করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।
  • রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে।
  • হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
  • শরীরে পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়।
  • প্রসব সহজ করে।
  • বাচ্চা প্রসবের পর দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে।
  • শক্তি বৃদ্ধি করে।
যদিও গর্ভ অবস্থায় খেজুর খাওয়া অনেক উপকার তবে পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত এবং কোন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

খেজুর খাওয়ার ২০টি অপকারিতা

যদিও খেজুর পুষ্টিকর আমাদের বিভিন্নভাবে পুষ্টি প্রদান করে। তারপরেও অতিরিক্ত খেলে বা নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থার কারণে কিছু সমস্যা হতে পারে নিচে খেজুর খাওয়ার সম্ভাব্য বৃষ্টি অপকারিতা দেওয়া হল-
  • রক্তের শর্করা পরিমাণ বাড়াতে পারে-বেশি খেজুর খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করা মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
  • ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে-উচ্চ ক্যালসিয়াম যুক্ত হওয়ায়অতিরিক্ত খেলেওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • কষ্ট কাঠিন্য হতে পারে-কোম্পানি ফান করলে খেজুরের ভাইবার হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারি তার জন্য কষ্টকাঠিন্য হতে পারে।
  • ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে-বেশি ফাইবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হয় সেজন্য ডায়রিয়া হতে পারে।
  • -অতিরিক্ত খেজুর পাকস্থলীকে গ্যাস তৈরি করতে পারি।
  • এসিডিটি বা বুক জ্বালাপোড়া বাড়াতে পারে-এটি পাকস্থলীর অম্বতা বাড়িয়ে এসিডিটি সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • দাঁতের ক্ষতি করতে পারে-এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও স্টিক দাঁতের আটকে গিয়ে কেভিটি বা ক্ষয় হতে পারে।
  • এলার্জির সমস্যা হতে পারে-কিছু মানুষের খেজুরে থাকা সালফাইড এর কারণে এলার্জি হতে পারে।
  • রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।
  • মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথা বাড়াতে পারে-খেজুরে কিছু পিরামিড থাকে যা মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়াতে পারে।
  • কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • ইনসুলিন প্রতিরোধ বাড়াতে পারে।
  • হরমোনের ভারসাম্য বিকৃত হতে পারে।
  • খাদ্যনালীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে-খেজুর ঠিকমত চিবিয়ে না খেলে ঠিক খাদ্যনালীতে আটকে যাওয়ার যোগে থাকে।
  • পৌষ হবে জটিলতা বাড়তে পারে-গর্ব অবস্থায় শুরুর দিকে অতিরিক্ত খেজুর জরায়ুর সংকোচন ঘটিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • পানি শূন্যতা ঘটাতে পারে-খেজুরে বেশি ফাইবার শাড়ির শরীর থেকে বেশি পানি শোষণ করে ফেলতে পারে।
  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পটাশিয়াম গ্রহণের ঝুঁকি বাড়ায়। শিশুরা খেজুর ভালোভাবে না চিবিয়ে খেলে অন্তরে আটকে গিয়ে সমস্যা করতে পারে।

খেজুর খাওয়ার সঠিক সময়  

খেজুর খাওয়ার সঠিক নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই যেকোনো সময় আমরা খেজুর খেতে পারি। তারপরও কিভাবে খেলে সর্বাধিক উপকার পাওয়া যায় সেটা নির্ভর করে ব্যক্তি শারীরিক চাহিদা রুক্ষ অনুযায়ী চলুন আলোচনা করা যাক খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় নিয়ে-
  • সকালে খালি পেটে-খালি পেটে খেজুর খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়।
  • এটি হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • শরীরের ক্ষতিকারক টনিক দূর করতে সাহায্য করে।
  • ইফতারের সময়-রোজা রাখলে শরীরের গ্লুকোজের অভাব হয়, খেজুর দ্রুত শক্তি প্রদান করি পুনরুদ্ধার করে।
  • রাতে ঘুমানোর আগে-ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে ভালো ঘুম হয়।
  • এটি রাতের মধ্যে শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
  • ব্যায়ামের আগেও পরে-ব্যায়ামের আগে খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায় ।
  • ব্যায়ামের পরে খেলে পেশির পুণ্যগঠনে সহায়তা করে এবং ক্লান্তি দূর করে।

 উপসংহারঃ খেজুর খাওয়ার আশ্চর্য উপকারিতা ও অপকারিতা

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম ।খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ,খেজুর খাওয়ার অপকারিতা্পু‌রুষদের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা,মহিলাদের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ,কখন খেজুর খেলে বেশি উপকার হয়, খেজুরের পুষ্টিগুণ ও উপাদান ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় ।আশা করি এই পোস্ট পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এমন আরো নতুন তথ্যবহুল পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ ।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url