কোরবানির পশুর নির্বাচন করার নিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ পরামর্শ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কোরবানির পশুর নির্বাচন করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না আজকে আমি আপনাদের মাঝে কোরবানির পশু নির্বাচন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে করে আপনারা কোরবানির পশু নির্বাচন করা নিয়ে কোন সমস্যা না হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ কোরবানি পশু নির্বাচন করার নিয়ম
- কোরবানি পশু নির্বাচন করার নিয়ম
- শরীয়ত অনুযায়ী কোরবানির পশু নির্বাচনের নিয়ম
- কুরবানী পশুর বয়স নির্ধারণ করার পদ্ধতি
- পশুর শারীরিক অবস্থা দেখে কুরবানীপ্রসন্ন নির্বাচন করার নিয়ম
- কোন কোন পশু কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়
- চোখ ও দাঁত দেখে কুরবানী পশু নির্বাচন করার নিয়ম
- গরু ছাগল ভেড়া এবং উট কোন পশুটি কোরবানির জন্য বেছে নিবেন
- পেশাদার পশু ডাক্তার দিয়ে পশু পরীক্ষা করানোর দরকার
- কোরবানির গরু ভাগ করার নিয়ম
- উপসংহার/কোরবানির পশু নির্বাচন করার নিয়ম
কুরবানীর পশু নির্বাচন করার নিয়ম
কোরবানি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুসলমানদের জন্য ইবাদত। এই ইবাদতের সঠিক আদায়ের জন্য কুরবানীর পশুর নির্বাচন করার নিয়ম জানা আমাদের সকলেরই অপরিহার্য। ভুল পশুর নির্বাচন করলে কুরবানী শহীদ হবে না, হলে ইবাদত অগ্রহণযোগ্য হতে পারে।
অনেকেই শুধুমাত্র পশুর আকার বা দাম দেখে নির্বাচন করেন ,অথচ শরীয়ত সম্মত
দিকটি উপেক্ষিত হয়। একটি সঠিক পশু নির্বাচন ইবাদতের প্রতি আমাদের আন্তরিকতা ও
আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের ইচ্ছা প্রকাশ করে। তাই আমাদের উচিত শরীয়ত সম্মত দিক
বিবেচনা করে কুরবানী পশু নির্বাচন করার চেষ্টা করা।
শরীয়ত অনুযায়ী কুরবানী পশুর নির্বাচনে নিয়োগ
ইসলাম অনুযায়ী কোরবানির জন্য গরু, ছাগল ভেড়া মহিষ এবং উট ব্যবহারযোগ্য। তবে
প্রতিটি পশুর একটি নির্দিষ্ট বয়স ও শরীয়ত মানদন্ড আছে যা পূরণ না করলে তা
কোরবানিযোগ্য হয় না। যেমন গরু বা মহিষ কমপক্ষে দুই বছরের এবং ছাগল বা ভেড়া
কমপক্ষে এক বছরের হতে হবে।
কোন পশুর একটি চোখ অন্ধ শিংভাঙ্গা বা পা ভাঙ্গা, বা নেচ কাটা ইত্যাদি যেকোনো একটি যদি খোদ থাকে তাহলে সেই পশু কোরবানি উপযোগী নয়। আমাদের সব সময় এই নিয়ম গুলো মেনে পশু নির্বাচন করলে কেবল কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে। সবচেয়ে আপনার যে পশুটি পছন্দনীয় সেটি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
কোরবানির পশুর বয়স নির্ধারণ করার পদ্ধতি
বয়স যাচাই করা কোরবানির পশু নির্বাচন করার নিয়ম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গরুর ক্ষেত্রে দাঁত দেখে সহজে বয়স নির্ধারণ করা যায়। সাধারণত দুইটি দুধের দাঁত পড়ে স্থায়ী দাঁত উঠলেই বোঝা যায় পশুটি দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। যেসব লোকেরা গরু লালন-পালন করে বা কোন পশু বিক্রেতার সাহায্য নিয়ে দাঁত পরীক্ষা করা ভালো।
কারণ অনেক সময় বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রয় করতে কম বয়সী পশুকে বড় দেখিয়ে দিতে পারে। এমনকি ইদানিং পশু বিক্রেতা অর্থাৎ আমরা যাদেরকে গরুর দালাল বলে থাকি তারা মূলত ছোট গরু দাঁত ভেঙ্গে বাজারে নিয়ে যে বিক্রি করার চেষ্টা করে সেই দিকেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো।
পশুর শারীরিক অবস্থা দেখে কুরবানীর পশুর নির্বাচন করার নিয়ম
শরীয়ত অনুযায়ী পশুর শরীর হতে হবে সুস্থ ও পরিপূর্ণ।, অতিরিক্ত রোগাক্রান্ত
খুব দুর্বল বা অপুষ্ট পশু কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়। পশুর চলাফেরা স্বাভাবিক
কিনা চোখে বা শরীরে কোন অসঙ্গতি আছে কিনা তা খেয়াল রাখা জরুরী। চর্মরোগ বা
পোকা আক্রান্ত পশু অনেক সময় বাইরে থেকে বোঝা যায় না।
পশু যদি চঞ্চলও খেতে আগ্রহী হয় তবে সেটি সাধারণত সুস্থ থাকে। নিজে যদি বুঝতে
না পারেন তাহলে যেসব লোকেরা গরু ছাগল লালন পালন করে তাদের সহযোগিতা নিতে পারেন।
তারা গরু দেখেই বলে দিতে পারবে গরুটি সুস্থ কিনা। এটি হল গ্রামের জন্য আর
আপনি যদি শহরে বসবাস করেন তাহলে কোন একজন পশুর ডাক্তারকে দেখিয়ে নিশ্চিত হতে
পারেন।
কোন কোন পশু কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়
যেসব পশুর একটি বা একাধিক অঙ্গ অকার্যকর বা বিকল, সেগুলো শরীয়ত অনুযায়ী কুরবানীযোগ্য নয়। যেমন এক চোখ অন্ধ, এক পা অচল কানে বা শিংগের গুরুতর আঘাতপ্রাপ এসব পশু বর্জন করতে হবে। এছাড়াও খুব বেশি রোগা বস্তু বা দুর্বল পশুও কুরবানীর জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
কারণ এমন পশু আল্লাহর পথে উৎসর্গ যোগ্য নয় বলে বিবেচিত হয়। তাই পশু নির্বাচন করার সময় এসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। আমাদের উচিত আমরা যে কুরবানী পশু নির্বাচন করব সেটি যেন মন পছন্দ হয়। সুস্থ সবল দেখতে সুন্দর এমন পশই নির্বাচন করব। সবচেয়ে ভালো হয়।
আমরা যদি পশুটি নিজে লালন পালন করে থাকি তাহলে তার প্রতি একটি মায়া জন্মে আর এই মায়া জন্মানোর জন্য পশুটি আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করতে আমাদের মনে কষ্ট হয়। তারপরেও আমরা আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য নিজের পছন্দের পশুটি কোরবানি দিয়ে থাকি। এভাবে যদি আমরা কোরবানি নির্বাচন করতে পারি তাহলেই আমাদের উপযুক্ত কোরবানির পশু বলে বিবেচিত হবে।
চোখ ও দাঁত দেখে কুরবানীর পশু নির্বাচন করার নিয়ম
চোখ দেখে পশুর দৃষ্টিশক্তি ঠিক আছে কিনা যাচাই করা দরকার। দুটি চোখে যদি সমান ভাবে গরু ছাগল ভেড়া এবং কোন প্রশ্নটি কোরবানির জন্য বেছে নিবেন
পশু দেখতে না পারে, তবে তা কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়। চোখের কোন দাগ বা
অতিরিক্ত পানি থাকলে চিকিৎসা নেওয়া দরকার। দাঁতের ক্ষেত্রে, বয়স নির্ধারণ
ছাড়াও মুখের স্বাস্থ্য ভালো আছে কিনা।
দুধের দাঁত পড়ে স্থায়ী দাঁত উঠেছে কিনা তা দেখা জরুরী। কারণ অনেক সময় দুধের দাঁত থাকলেও পশুকে বড় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। সেদিকে ভালোভাবে নজর রাখতে হবে।
www.alltipsatoz.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url